পানির অপর নাম। আবার দূষিত পানির অপর নাম মরণ। সুস্থ ও রোগ প্রতিরোধ করার জন্য মানুষের শরীরে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন রয়েছে।বিশুদ্ধ পানির খোঁজে অনেকেই বেছে নেন হরেক রকম পন্থা। কেউ পানি ফুটিয়ে পান করেন, আবার কেউ ফিল্টারের সাহায্যে পানি পরিশোধন করে পান করেন।
তবে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে, ফুটানো পানি নাকি ফিল্টার করা পানি- কোনটি বেশি নিরাপদ? এ বিষয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ জাহানারা আক্তার সুমি। এই পুষ্টিবিদ বলেন, আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশ হলো পানি। শরীরের প্রতিটি সেল, টিস্যু, অর্গান পানির উপর নির্ভরশীল।
শরীরের পুষ্টি উপাদান পরিবহন, খাদ্যের শোষণ, বিপাক, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পানি অপরিহার্য। তাই আমাদের বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ সাপ্লাই পানিতে বিভিন্ন রকম অনুজীব, ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে যা দ্বারা পানি বাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শতভাগ। তাই পানি পান করার পূর্বে অবশ্যই বিশুদ্ধ করে নিতে হবে।
এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ফুটানো বা ফিল্টার করা- কোন পদ্ধতি বেশি স্বাস্থ্যসম্মত আমাদের জানতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করলে বেশির ভাগ অনুজীব ধ্বংস হয় এটা ঠিক কিন্তু সম্পূর্ণরূপে জীবাণু মুক্ত হয় না। আবার অনুজীব ধ্বংস হলেও সাপ্লাই পানিতে কিছু ক্ষতিকর উপাদান থাকে যেমন সীসা, লিড, ক্লোরিন, আর্সেনিক, ম্যাগনেসিয়াম, নাইট্রেট ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য নানারকম ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আবার অন্যভাবে ভাবলে পানি ফুটিয়ে পান করা ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। ভালো মানের ফিল্টার ক্রয় করে পানি বিশুদ্ধ করার পরামর্শ দিয়ে জাহানারা আক্তার সুমি বলেন, ফিল্টারে বিনা পরিশ্রমে খুব কম সময়ে পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব। এতে অনুজীবসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল খুব অল্প সময়ে ধ্বংস করা যায়। এতে খরচ ও সময় দুই বাঁচে। তবে বাজারে নানা ধরনের পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার রয়েছে। কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক হতে হবে যাতে আপনি প্রতারিত না হন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।